কুমিল্লা নগরী লাগোয়া গোমতী নদীর পাড়ে নতুন সড়কটি প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের প্রথম দিকে নির্মাণ করা হয়। নতুন রাস্তা হওয়ায় নগরীতে যানবাহনের চাপ ও যানজট কমে যায়। অন্যদিকে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে পেরে খুশি এলাকাবাসী। কিন্তু নির্মাণের মাত্র দেড় বছরের মাথায় সড়টিতে অনেক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের পালপাড়া ও দুর্গাপুর এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা মাটি ও বালিবাহী ট্রাক্টরগুলো সড়কের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার জগন্নাথ মন্দির থেকে আমতলী পর্যন্ত গোমতীর পাড়ে ১০ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করে কুমিল্লা সিটি করেপোরেশন। সড়কটিতে ২৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়। অর্থায়ন করে বিশ্ব ব্যাংক। তবে দেড় বছর না যেতেই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় নগরবাসীর মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। কেউ বলছেন, গোমতী নদীর বালি মাটি অবৈধভাবে সড়ক দিয়ে পারাপার করায় সড়কটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে। নির্মাণ কাজ দুর্বল হওয়ায় অল্প সময়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্যও করেন অনেকে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বলেন, গোমতী পাড়ের নতুন রাস্তাটি নগরবাসীর দুর্ভোগ অনেকাংশে কমিয়ে আনে। তবে নদী থেকে মাটি ও বালি উত্তোলন করে পরিবেশের ক্ষতি করছে। অন্যদিকে ট্রাক্টর দিয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করায় দ্রুত সড়কটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই সড়কে মাটি ও বালিবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।
এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম বড়ুয়া বলেন, নগরবাসীর যানজটের দুর্ভোগ কমাতে এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিছু অংশে গর্ত হয়ে গেছে। তিন বছরের আগে সংস্কার করার সুযোগও কম। তবে সড়কটির পাশে সৌন্দর্য বর্ধনের পরিকল্পনা রয়েছে।
সড়কটিতে মাটি ও বালিবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান সিটি করপোরেশনের ওই কর্মকর্তা।